শফিক বিশ্বায়
কি ফোন এলো দেশে সর্বনেশে
সবার হাতে হাতে।
ছেলেপিলে ঘুমাই নাকো
সবাই জাগে রাতে। ———-এবার করি কি ভাই
এবার করি কি ভাই উপায় কি নাই
আজব দুনিয়াতে।
ছেলে মেয়ে ন্যাংটো হইয়া
আনন্দেতে মাতে ।———মানুষ কেমনে হবে?
মানুষ কেমনে হবে? লোকে কবে
অমুকের ওই ব্যাটা।
সারারাত ফোন দেখে তাই
বউ মারে ঝাঁটা।———বলে ডিভোর্স দোবো
বলে ডিভোর্স দোবো খোরপোশ নোবো
কে মোরে আটকায়।
রাতে অনেক ফোন আসে
ধরতে দেয় না তাই।——–আমি আর থাকব না
আমি আর থাকবো না যে বলে সোনা
তার কাছে তে যাব ।
নতুন বিয়ে করে আমি
অনেক খুশি হব ।———–ছেলে মজা করে
ছেলে মজা করে দুহাত সরে
বলল ভালো হবে।
দুদিন বাদে আমার ঘরে
নতুন বউটা রবে।———এসে দেখে যাস
এসে দেখে যাস মিষ্টি খাস
নতুন স্বামী নিয়ে ।
কেমন পেলি বুড়ো ব্যাটা
যাস রে দেখিয়ে।——-চরম বাস্তবতায়
চরম বাস্তবতায় সব পুড়ে ছাই
কি হবে গো দেশে ।
কষ্ট সবার বুকে হলেও
থাকতে হয় গো হেসে। ——-ছোট বাচ্চাগুলো
ছোট বাচ্চাগুলো গেমে খেলো
তাদের মাথা খানি।
পড়াশুনা কেউ করেনা
বলে সবই জানি।——এটা কিভাবে হয়?
এটা কিভাবে হয় ? শরীরের ক্ষয়
করছে প্রতিদিন ।
কেমন করে শোধ করবে
বাবা-মায়ের ঋণ।—–একবার ভেবে দেখুন
একবার ভেবে দেখুন দূরে রাখুন
আপনার ছেলে মেয়ে ।
মানুষ তাদের কর ও ভাই
জীবনের গান গেয়ে।——-নয়তো শেষ হয়ে যাবে
নয়তো শেষ হয়ে যাবে কিগো পাবে
আগামীতে যারা।
নতুন সমাজ করতে হবে
দিয়ে নতুন ধারা।——নেব সংকল্প
নেব সংকল্প অল্প অল্প
সবাই হাতে হাতে ।
শরৎ বাবুর গল্প বলে
ফোন দেব না রাতে। ——তাতে যে ভয় দেখাক
তাতে যে ভয় দেখাক মোদের শেখাক
ফোন উপকারি ।
তাদের নতুন জীবন দিতে
আমরাই তো পারি ।——–আসুন একসাথে
আসুন একসাথে হাতে হাতে
গাই সে গান সুরে।
এবার থেকে থাকবো মোরা
ফোনের থেকে দূরে।——-শুধু প্রয়োজন ছাড়া
শুধু প্রয়োজন ছাড়া নজর কাড়া
কিছুই দেখবো না।
ফোনের মধ্যে উল্টোপাল্টা
কিছু তো রাখবো না।——ওরে আবুল চাচা
ওরে আবুল চাচা ছেলে বাঁচা
কানে যে তার ফোন ।
মোটর গাড়ি চালায় যখন
রাস্তায় নাই তো মন। ——-আবার কাকা রতন
আবার কাকা রতন ছেলের মতন
কিছুই তো না করে ।
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
তার ও যে সংসারে। ——-সরকার দিব্যি আছে
সরকার দিব্যি আছে মাংস মাছে
আমাদের কি হবে।
এই পৃথিবীর গরিব গুলো
আর কি কোথাও রবে।——ও ভাই চিন্তা কর
ও ভাই চিন্তা কর ফোনটা ছাড়ো
কাজে দাও গো মন।
আমাদের করবে গো শেষ
বিষাক্ত এই ফোন।——গানে কবি বলে
গানে কবি বলে রসাতলে
যাবে এই সংসার।
অপব্যবহার করলে বিজ্ঞান
সব হবে ছারখার।।